দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় কাঁচা মরিচের সেঞ্চুরির পাশাপাশি বেড়েছে ডিম, পেঁয়াজ ও সবজির সবজি’র দাম।

সপ্তাহের ব্যবধানে এক হালি ফার্মের ডিমের দাম হাফ সেঞ্চুরি পেরোল। একটি ডিমের দাম ১৫ টাকা, আর হালি হিসেব করলে দাম ৬০ টাকা, আর ডজন ১৮০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪৪ টাকা, আর হালি ছিল ৪৮ টাকা। অন্যদিকে পেঁয়াজ এবং রসুনের দামও বেড়েছে। পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা এবং রসুনের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকার বেশি।

 

রবিবার (১৩ আগস্ট) উপজেলার পাকেরহাট কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি মুরগি, হাঁস ও সোনালী মুরগির ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২০০ টাকা এবং হাঁসের ডিমের ডজন ২৪০ টাকা ও সোনালী মুরগির ডিমের ডজন ১৮০ টাকা। তবে দাম বেড়েছে পেঁয়াজ ও রসুনের। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০ টাকা এবং রসুনের বেড়েছে ৩০ টাকার বেশি। দেশি পেঁয়াজ কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা। তবে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজিতে। অন্যদিকে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৪০ টাকা। আর আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৩০ টাকা।

 

এছাড়া কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা কেজি। পটলের কেজি ৩০-৩৫ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, ঝিঙে ৪০ টাকা, কাঁকরোল ৩০-৩৫ টাকা, কচুরমুখি ৮০ টাকা, লাউ (প্রতি পিস) ২৫-৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকায় (পিস ছোট), মুলা ৩০ টাকা, বেগুন ২৫-৩০ টাকা, শজি ৫০ টাকা এবং আলু ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এসময় নীলফামারী থেকে পাকেরহাটে বাজার করতে আসা ইপিজেড শ্রমিক মোঃ হানিফের সাথে দেখা হয় সকালের সময় প্রতিবেদকের।

এ সময় তিনি বলেন, ‘সব কিছুর দাম কেমন জানি বাড়তি। গত সপ্তাহে পেঁয়াজ, রসুন এবং ডিমের যা দাম ছিল, আজকে তার সবকিছুর দাম বাড়তি।

এর আগের সপ্তাহে বাড়তি ছিল ব্রয়লার মুরগির দাম। প্রতি সপ্তাহে কোনো না কোনো সামগ্রীর দাম বেড়েই চলেছে। কিন্তু আমরা যারা ছোট বা মাঝারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করি আমাদের বেতন কিন্তু বাড়ছে না।’

এদিকে পাকের হাট বাজারে সবজি বিক্রেতা আসাদুল ও কয়েক জন খুজরা ডিম বিক্রেতা সকালের সময়কে বলেন, ‘বৃষ্টি হচ্ছে গত ২-৩ দিন। যার কারণে মোকামে ডিম আসছে কম। আর যে জিনিস বাজারে কম আসে সেটার চাহিদা বেড়ে গেলে দামও বেড়ে যায়। আমরা তো নিরুপায়, বেশি দামে কিনলে সেটা বেশি দামেই বিক্রি করতে হয়।’

 

এ ছাড়াও কয়েকজন পাইকারি পেঁয়াজ ও রসুন বিক্রেতা বলেন, ‘বাজারে পেঁয়াজ ও রসুনের সরবরাহ কম। এখন চাহিদা বেশি। যার জন্য দাম বেশি একটু। বাজারে সরবরাহ বাড়লে আবার দামও কমে আসবে। এগুলো বেশি আনাও মুশকিল। কারণ বেশি স্টক করেও রাখা যায় না। এগুলো স্টক করে রাখলে আবার পঁচে যায়। ফলে আমাদের কম কিনে বিক্রি করতে হয়।’